রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে এলাকা থেকে আসবে জুনিয়র। তার জন্য আবাসন খুঁজতে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় যায় দুলাল চন্দ্র। সেখানে হোটেল দেবার নাম করে তাকে ফাঁকা যায়গায় নিয়ে মারধর ও সর্বস্ব লুট করেন দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (২২ জুলাই) নগরীর লক্ষীপুর এলাকার আলীগঞ্জ পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম দুলাল চন্দ্র। তিনি রাবির দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ^রী উপজেলায়।

জানা যায়, আলীগঞ্জ পশ্চিম পাড়ার এক রাস্তার পাশে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিল দুলাল। এলাকাবাসীরা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রিক্সা করে ক্যাম্পাসে পাঠিয়ে দেন। পরে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তাকে বিশ^বিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) রেফার্ড করেন। বর্তমানে দুলাল রামেকে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ বিষয়ে হুমায়ুন জানান, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য লক্ষীপুর মোড়ে আবাসিক হোটেল খুঁজতে গেয়েছিল দুলাল। সেখানে তার সাথে কয়েকজনের পরিচয় হয়। তারা দুলালকে হোটেলে সিটের ব্যবস্থা করে দিতে পারবে বলে জানায়। এরপর তারা দুলালকে রিকশায় করে লক্ষীপুরের পাশে আলীগঞ্জের পশ্চিমপাড়ায় নিয়ে গিয়ে রিকশা থেকে নামিয়ে ব্যাপক মারধর করে এবং তার টাকা-পয়সা মোবাইল সব কিছু নিয়ে নেয়।

তিনি আরও বলেন, দুলালের কাছে অভিযুক্ত তিনজন কটা, আলাল এবং হাসিব নামে পরিচয় দেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সলীল সমাদ্দার বলেন, তাকে মাথার পিছনে মারা হয়েছে এবং হাতের কব্জিতে ব্লেডের আঘাত রয়েছে। মাথার পিছনে মারধরের আঘাত দেখে মনে হয়েছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং সে কারণে ফুলে আছে। এই মুহুর্তে তার চিকিৎসা এখানে করা সম্ভব না বলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে পাঠিয়েছি।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, ‘আমি বিষয়টি জেনেছি। আগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর চিকিৎসাটা জরুরী। তারপর কারা এমন করেছে, কী কারণে করেছে তা বের করা হবে।’

কলমকথা/এসএইচ